বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে নতুন বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে *** নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত নিবন্ধ নিয়ে যা বলছে সরকার *** সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া *** শুল্ক নিয়ে কাল কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প *** চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে যা হচ্ছে ভারতে *** তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির কথা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর *** প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন *** অধ্যাপক ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদির ঈদের শুভেচ্ছা *** দেশে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা *** এনসিপির সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত বিএনপির!

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব : যা নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

অনেক দম্পতিকেই দেখা যায় সন্তানের আশায় উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেককে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়। সন্তান না হওয়ার দায়টা আমাদের সমাজে নারীর ওপরই বর্তায়। তবে এতে পুরুষ সঙ্গীর ভূমিকাও অনেক সময় প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যার কারণে সন্তান হয় না।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শুক্রাণু তৈরি না করতে পারা। ৩০-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের গুণগত ত্রুটি, ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১-৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিটুইটারি গ্রন্থি বা হাইপোথ্যালামাসের সমস্যা এ ক্ষেত্রে অন্যতম দায়ী।

পড়ুন ডোপ টেস্ট কী? কীভাবে ও কোথায় করা হয়?

পুরুষদের বন্ধ্যত্ব শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য ও ইতিহাস জানা। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন করা হয়। অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা, সংক্রমণ, ধূমপান ও বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশের নানাবিধ দূষণও দায়ী হতে পারে। এ ছাড়া শুক্রাশয়ের সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া কিংবা জেনেটিক বা ক্রোমোজমাল সমস্যা দেরিতে ধরা পড়ার কারণেও সন্তান না হতে পারে।

সন্তান দেরিতে হচ্ছে এমন দম্পতির ক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীরও কিছু জরুরি পরীক্ষা করা উচিত। যেমন, সংক্রমণ, রক্তের শর্করা পরীক্ষা, সিমেন অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে শুক্রাণুর সংখ্যা, আকৃতি, চলনক্ষমতা নির্ণয় ইত্যাদি। অনেক সময় শুক্রাণু চলাচলের নালিটি সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জন্মগতভাবেও নালিটি বন্ধ বা অসম্পূর্ণ থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা যায়। পুরুষের হরমোন টেস্টোস্টেরনের অভাব থাকলে প্রয়োজনে ইনজেকশন নিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়। আগে ভ্যাসেকটমি করা থাকলে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে পুরুষের প্রজননক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়।

মনে রাখতে হবে, জিনগত ও ক্রোমোজোমাল ত্রুটিতে, শুক্রাশয় কোনো কারণে (সংক্রমণ, আঘাত ইত্যাদি) চিরতরে নষ্ট হলে উন্নতির সম্ভাবনা নেই। তবে শুক্রাণুর সংখ্যা, আকার ও চলনক্ষমতার ত্রুটি থাকলে সীমিত পর্যায়ে ভালো ফল আশা করা যেতে পারে। তাই পুরুষ বন্ধ্যাত্বে লজ্জা নয়, মন খুলে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

এস/ আই.কে.জে/

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব পুরুষ স্বাস্থ্য বন্ধ্যাত্বের কারণ স্বাস্থ্য সমস্যা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন